মশা তাড়ানোর অভিনব উপায়

খুব সহজেই নির্বিঘ্নে মশা তাড়ান, জেনে নিন অভিনব উপায় :

বাড়ির আশেপাশে ডোবা অথবা নোংরা জলাশয় থাকলে মশার উপদ্রব দেখা যায় বেশি। এছাড়া অপরিষ্কার ঘরেও মশা সহজে বংশবিস্তার করে। মশার গুনগুন শুধু বিরক্তিকরই নয়, ক্ষতিকারক এ পতঙ্গ বিভিন্ন রোগজীবাণুও বহন করে। শীতকালে মশার উপদ্রব স্বাভাবিক এর চেয়ে একটু বেশি । প্রচন্ড শীতে একটু আরামে ঘুমাতে চাই না এমন লোক খুজে পাওয়া বড়ই মুশকিল । কিন্তু মশার কামড়ে শান্তি প্রিয় ঘুমে ঘটছে প্রচণ্ড ব্যাঘাত । তাছাড়া মশার উপদ্রবে ঘরে থাকতে কষ্ট হচ্ছে।

অ্যারোসল দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না। আবার বেশি অ্যারোসল বা কয়েল জ্বালালে বাচ্চাদের ক্ষতির ভয়ও আছে। নিজের শান্তিপ্রিয় ঘুমের জন্য বাচ্চার কোন ক্ষতি হোক সেটা কেউই চাই না আবার অনেকের কাছে মশারি তো জঞ্জালের বোঝা। এমন অবস্থায় কী করা যায় ভেবে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে ? সমস্যায় ভুগছেন কিন্তু কোন প্রকার সমাধান খুজে পাচ্ছেন না । নিজের মাথা কাজে লাগিয়ে একটুখানি বুদ্ধি খাটান। মশারা বাপ বাপ বলে ছুটে পালানোর পথ খুজে পাবে না । ঘর বসে নিজেই তৈরি করে নিন মশা তাড়ানোর এক বিরাট জম।

ভাবছেন কীভাবে? সহজলভ্য দুটি জিনিস লাগবে। আর তা সবার ঘরেই পাওয়া যায়।

একটি পাতিলেবু এবং ১০টি লবঙ্গ নিন। পাতিলেবুটি মাঝখান দিয়ে কেটে নিন। এরপর সেই পাতিলেবুর কাটা অংশে ৫টি করে লবঙ্গ গুঁজে দিন। বাটিতে করে ঘরের নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিন। দেখুন কিছুক্ষণের মধ্যেই মশারা ঘর থেকে পালাবে।

অ্যারোসলের মতো এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন। বাজারের মশা তাড়ানোর ওষুধ বেশিরভাগই বিষাক্ত। ঘরে শিশু থাকলে এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো।

জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে মশা তাড়ানোর আরো কিছু উপায়-

  • কয়েক কোয়া রসুন পিষে পানিতে দিয়ে সেদ্ধ করুন। রসুন ছেঁকে পানি বোতলে নিয়ে স্প্রে করুন ঘরে। মশা দূর হবে।
  • দরজা জানালা বন্ধ কর কর্পূরের ধোঁয়া দিন ঘরে। ২০ মিনিটের মধ্যে চলে যাবে মশা।
  • কেরোসিন তেল স্প্রে বোতলে নিন। কয়েক টুকরা কর্পূর মেশান। ভালো করে ঝাঁকিয়ে স্প্রে করুন রুমে। মশা থাকবে না।
  • নারিকেলের গায়ে থাকা আঁশের সাহায্য দূর করতে পারেন মশা। নারিকেলের আঁশ শুকিয়ে টুকরা করুন। একটি কাঠের পাত্রে রেখে জ্বলন্ত ম্যাচের কাঠি ধরুন। ৫-৬ মিনিটের মধ্যেই মশা দূর হবে।
Related Posts

Leave a Comment

Direct link ads