জন্মনিরোধক বড়ি খেলেও গর্ভধারণ হতে পারে

গর্ভধারণ যাতে না হয় সে কারণে অধিকাংশ মহিলাই কন্ট্রাসেপটিভ পিল বা জন্মনিরোধক বড়ি ব্যবহার করে থাকেন৷ বিভিন্ন কোম্পানি দাবি করেন যে এই ধরনের ওষুধ ৯৯ শতাংশ নারীকে অনিচ্ছাকৃত গর্ভধারণের হাত থেকে বাঁচায়৷ তবে গবেষণায় এই ধরনের পিলের বিভিন্ন ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়েছে৷ দেখা গেছে গর্ভনিরোধ এধরনের ওষুধের ব্যর্থতা নয় শতাংশ৷ আবার কিছুক্ষেত্রে অন্য ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে কন্ট্রাসেপটিভ পিলের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়৷ গবেষকেরা চারটি কারণ বের করেছেন যাতে কন্ট্রাসেপটিভ পিল কোনো প্রভাব ফেলতে পারে না৷

১. নিয়মিত পিল না খেলে গর্ভধারণ হতে পারে৷ অন্যান্য হরমোন কন্ট্রাসেপটিভের মতোই এই ধরনের ওষুধ দেহের সংশ্লিষ্ট হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়৷ বেশির ভাগ ওষুধ ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের সমন্বয়ে কাজ করে৷ ওষুধ নিয়মিত না খেলে এই গরমোন গুলির ঘাটতি দেখা যায়৷ ফলে মহিলাদের ডিম্বাশয় উর্বরই থেকে যায়৷ ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী বিশেষজ্ঞ ফিলিপ জার্নে এমন তথ্যই জানিয়েছেন৷

২. গবেষকেরা ওরাল হরমোনাল পিলকে নিরাপদ করতে গবেষণা করছেন৷ প্রোজেস্টেরন-ইস্ট্রোজেন পিলের উপকারিতা পেতে হলে ছয় থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে এই ওষুধ খেতে হবে৷ প্রজোস্টেরন পিল প্রতিদিনের ভত্তিতেই ব্যবহার করা যাবে৷ একদিনও যদি ওষুধ না খাওয়া হয় তবে দেহে হরমোনের মাত্রা কমে যেতে পারে৷

৩. বিশেষ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতির জন্যেও অনেক সময় এই ধরনের পিল কোনো কাজে দেয় না৷ যেমন যক্ষ্মার জন্য রিফাডিন চিকিৎসা, গ্রিসেওফালভিনের জন্য অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ড্রাগ ইত্যাদি৷ তাই কোনো পিল ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ একান্ত প্রয়োজন৷

৪. হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণেও কন্ট্রাসেপটিভ পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ এই কারণেই চিকিৎসকেরা পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন৷ বিশেষ ওষুধ ও হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধে অন্য ব্যবস্থার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞেরা৷

Related Posts

Leave a Comment

Direct link ads