প্রতিদিন ত্বকের যত্নে তিনটি পদ্ধতি অনুসরণ করুন

এই ঋতুতে আমরা সবাই ঘাম, ব্রণ, একজিমা নিয়ে চিন্তিত থাকি। কিন্তু খুব সাধারণ কিছু নিময় মেনে চললেই আমরা নিজেদেরকে এসকল সমস্যা থেকে বাঁচিয়ে চলতে পারি। যেহেতু শুষ্ক ত্বক গ্রীষ্মে ততটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় না তাই এসময় তৈলাক্ত ও সংবেদনশীল ত্বকের যত্নই বেশী নিতে হয় এবং এরজন্য সবচেয়ে বেশী দায়ী হলো ময়লা, অতিবেগুনী রশ্মী ও তাপদাহ। তাই আপনাকে প্রতিদিনের ত্বকের যত্ন নেয়ার পদ্ধতিতে বিশেষ পরিবর্তন আনতে হবে যাতে আপনার ত্বক থাকে সুরক্ষিত এবং দ্যূতিময়।

এখানে প্রতিদিনের ত্বকের যত্ন তিনটি মূল পদ্ধতি অনুসারে হবে আর তা হলো:-

১ ক্লিনসিং ২ টোনিং এবং ৩ ময়েশ্চারাইজিং

***ক্লিনসিং***

ক্লিনসিং বলতে একটি নির্দিষ্ট মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে পুরো মুথমন্ডলকে দিনে দু’থেকে তিনবার ধোয়াকে বোঝানো হয়। গরমের সময় আপনারা ইচ্ছা করলে ফ্রুট ফেসওয়াশ, লেমন ফেসওয়াশ অথবা নিম ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে প্রচলিত সাধারণ কিছু ব্রান্ডের ফেসওয়াশ কিনলেই হবে। দিনে তিনবার যেমন ঘুমুতে যাবার আগে, ঘুমথেকে ওঠার পর এবং বিকালে বাইরে থেকে ফিরে এসে নিয়মিত ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন।

***টোনিং***

টোনিং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই উপকারী যা আপনার ত্বকে করবে মসৃন, ত্বকের খোলা ছিদ্র কমিয়ে দেবে এবং ত্বকের কালোভাব দূর করবে। একটি কটন বলের উপর অল্প একটু টোনার ঢেলে সমস্তমুখে মৃদুভাবে টেনে টেনে লাগিয়ে নিন। একদমই ঘষবেন না। নিজে থেকেই শুকাতে দিন। গোলাপ জলও ভাল টোনার হিসেবে কাজে দেয় যা ত্বককে করে তোলে নির্মল ও দ্যূতিময়।

***ময়েশ্চারাইজিং***

তৈলাক্ত ও সংবেদনশীল ত্বককে আর্দ্র করবার জন্য প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার বা রাতে ক্রিম ব্যবহার কাজে নাও দিতে পারে। তাই আপনাকে শশা, পেঁপে অথবা এ্যালোভেরা সমৃদ্ধ কিছু জেল প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। এ্যালোভেরা সমৃদ্ধ জেল ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কার্যকরী উপাদান হিসেবে কাজ করে। এটা আপনার ত্বকের কালোদাগ করে; ত্বককে মসৃন করে ত্বককে করে দ্যুতিময় এ উজ্জ্বল।

এছাড়াও আপনার ত্বককে জীবাণুমুক্ত রাখবার জন্য নিচের পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করুন:-

– ভাল মানের একটি সান্সক্রীম ব্যবহার করুন এবং বাইরে যাবার ২০মিনিট পূর্বে ত্বকে লাগান।

– যদি সূর্যের আলোতে বেশিক্ষন থাকতে হয় তাহলে সানগ্লাস ও ছাতা ব্যবহার করুন।

– ত্বক মোছার জন্য খসখসে রুমালের পরিবর্তে ভেজা টিস্যুর সাথে শশা, লেবু অথবা চন্দন ব্যবহার করুন।

– ঠোঁটে ভালমানের ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ লিপিস্টিক অথবা লিপ-বাম সহকারে ব্যবহার করুন।

– গ্রীষ্মে ত্বককে দূষনমুক্ত রাখতে দিনে ১০-১২ গ্লাস পানি পান করুন।

– যদি গরমে ত্বকে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয় তাহলে সাথে সাথে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিন এবং ঐ স্থানে মৃদুভাবে বরফ ঘষুন।

এবং অবশ্যই আপনার হাত ও চুল পরিষ্কার রাখুন ত্বককে রক্ষা করতে।

Related Posts

Leave a Reply

Direct link ads